বাংলা গদ্যভাষার বিকাশে প্রমিত বাংলা প্রায় একক স্থান করে নিয়েছে। কিন্তু প্রমিত বাংলার উৎস আছে উপভাষাতে।
চর্যাপদ থেকে বাংলা সাহিত্যের যাত্রা শুরু হয় এবং একটা দীর্ঘ সময় ধরে বাংলা সাহিত্যের মাধ্যম ছিল কাব্যভাষা। এই কাব্যভাষার কিছু কিছু শব্দ এখনও বিভিন্ন উপভাষায় পাওয়া যায়। কাজেই ধরে নেওয়া যায় কাব্যভাষার সমৃদ্ধিতে উপভাষার অবদান রয়েছে। বাংলা গদ্যভাষার বিকাশে উপভাষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কাব্যভাষার আদলে গদ্য রচনা শুরু হয়ে ধীরে ধীরে মানুষের কাছে পৌঁছানোর প্রয়োজনে তাকে উপভাষার ছাঁচে পরিবর্তিত হয়ে প্রমিত বাংলার রূপ ধারণ করতে হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের পর ক্রমে গদ্যে সরাসরি উপভাষা ব্যবহারের চলও শুরু হয়।
তাই উপভাষার গুরুত্বকে তুলে আনতে লেখক ভাষার এই শাখা নিয়ে গবেষণা করার এবং গ্রন্থ রচনার প্রয়াস পেয়েছেন। এই বইটিতে উপভাষা বিষয়ে লেখকের বিশ্লেষণের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের কিছু উপভাষার ওপর গবেষণাভিত্তিক প্রবন্ধ সন্নিবেশিত হয়েছে।
সূচিপত্র
গ্রন্থে ব্যবহৃত চিহ্ন ও সংকেতসমূহ
প্রথম প্রকাশের কথা
ইউপিএল সংস্করণের ভূমিকা
প্রথম অধ্যায়: বাংলা ভাষার ক্রমবিকাশ: উপভাষার প্রভাব
দ্বিতীয় অধ্যায়: কুষ্টিয়ার উপভাষা: ধ্বনিতত্ত্ব ও রূপমূলতত্ত্ব
তৃতীয় অধ্যায়: নীলফামারীর উপভাষা: ধ্বনিতত্ত্ব ও রূপমূলতত্ত্ব
চতুর্থ অধ্যায়: কুড়িগ্রামের উপভাষা: ধ্বনিতত্ত্ব ও রূপমূলতত্ত্ব
পঞ্চম অধ্যায়: রাজশাহী জেলার মেয়েলী-গীতের ভাষাতাত্ত্বিক পর্যালোচনা